সুন্দরবনের প্রান্তসীমায় একটি গ্রামীণ জনপদে নারী শিক্ষার এতবড় একটি দল আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না হলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর অতিক্রম করতো কিনা, সেটি অবশ্যই ভাবার বিষয়। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের বেশ কিছু গৃহীত পদক্ষেপ বর্তমানে মেয়েদের শিক্ষাক্ষেত্রে আগমন বৃদ্ধি করলেও ২০০০ সালের পূর্বের পরিবেশটি অনুকুল ছিল না। অগ্রয়াত্রার এ পথ অতিক্রম আমাদের তৃপ্তি নয়, এটি জাতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আন্তরিকতার সাথে পালন করা।
আমরা সম্মিলিতভাবে এক সৃজনশীল , পরিমার্জিত,উন্নতরুচিশীল জাতি গঠনের পরিপুরক মাতৃসমাজ গড়ে তুলতে সবসময় আন্তরিক এবং অঙ্গিকারবদ্ধ।
শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা। আর সেক্ষেত্রে আতরজানের শিক্ষক, কর্মচারী, পরিচালকমন্ডলী ও আন্তরিকতায় সর্বোচ্চ বিবেচ্য বিষয় থাকায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে উর্ত্তীর্ণ মেয়েরা আজ অনেকেই সমাজে সেবা দিচ্ছে। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষর ক্ষেত্রে ব্যাপক সংখ্যায় নিয়োজিত বর্তমান।
আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয় স্থাপিত শুধু শিক্ষার জন্য নয়। একটি আদর্শিক চেতনায় উদৃপ্ত মানব মন্ডলী তৈরীর প্রক্রিয়ায় এ আয়োজন। কুসংস্কারের কালো পাথর সরিয়ে উপকুলীয় জনপদে আলোকিত মানুষ পথ তৈরী করে সভ্যতার ইতিহাস গড়ার আকাঙ্খায় আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের যাত্রা। ব্যক্তি হিসাবে মানবতার পক্ষে থাকার বিশ্বাস দায়িত্ব পালন করার শেষ সময় পর্যন্ত রাখার প্রত্যাশা আছে। ত্রিশ লক্ষ মানুষের আত্ম ত্যাগের চেতনার ফসল লালন করবে যে সন্তানেরা-আমরা সে সন্তানের জনক হওয়ার প্রত্যাশা রাখি।
– জি.এম. আমির হোসেন